নিজস্ব প্রতিবেদক
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামে ছোট ভাই মিরাজের তাণ্ডবে বৃদ্ধা মা জাহানারা বেগম ও বড় ভাই মিজান দীর্ঘ এক বছর ধরে বাড়ি ছাড়া। মৃত সামসুল হকের ছোট ছেলে মিরাজের বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
মিরাজ গভীর রাতে বাড়িতে এসে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। বাধা দিলে মা জাহানারা বেগমকে (৭০) বেধড়ক মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা নিয়ে হামলা চালায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মিরাজ দাবি করে, বাবার সম্পত্তির একমাত্র মালিক সে এবং অন্য কেউ এতে ভাগ বসাতে পারবে না। আইন অনুযায়ী সবার অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও মিরাজ তা মানতে রাজি নয়। বরং বড় ভাই মিজানের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে।
গত ১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মিরাজ মিজানের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মা জাহানারা বেগম মিরাজের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এক মাস জেলে থাকার পর মিরাজ আবারও আগের মতো তাণ্ডব চালাচ্ছে। বড় ভাই মিজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান মিরাজকে তিনটি নোটিশ পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
বৃদ্ধা মা ও বড় ভাই বর্তমানে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। তারা মিরাজের মাদকাসক্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে মুক্তি চান এবং বাবার সম্পত্তি আইন অনুযায়ী সবার মধ্যে বণ্টনের দাবি জানান।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের বক্তব্য এসআই মাইনুল জানান, মিরাজকে থানায় ডাকা হলেও সে হাজির হয়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অভিযুক্ত মিরাজের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি