পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য মাওলানা একে ফখরুদ্দিন খান রাজী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা নিয়ে দেশে কোন সংকট সৃষ্টি করা যাবেনা, এর সুষ্ঠু সমাধান দিতে হবে। তিনি বলেন রাজপথে নামার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগনের ক্ষমতা জনগনকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আগামী নির্বাচনে শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদীসহ তিন প্রার্থী পিরোজপুরের ৩টি আসনে নির্বাচন করবে। আমরা ন্যায়ের পক্ষে ভোট চাই।
জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল হকের সঞ্চালনায় স্থানীয় টাউন ক্লাব মাঠ স্বাধীনতা মঞ্চের জনসভায় শামীম সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকতেই লাশের রাজনীতি করে আসছে। ১৯৭১-৭৫ এর ১৫ আগস্ট পূর্ব পর্যন্ত শেখ মুজিব মানুষ খুন করেছে। খুনের নেশায় মেতে শেখ হাসিনাও একইভাবে ২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত হাজারও মানুষ খুন ও গুম করেছে। ৫ আগস্ট মানুষ নতুন বিজয় পেলেও আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে পারিনি। সাঈদী কোরানের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়েছিলেন আার আমাদের লড়াইও কোরানের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। কাঙ্খিত লক্ষে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ।
সভায় মাসুদ সাঈদী বলেন, আওয়ামীলীগ ১৬টি বছরে গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ধংস করেছে। ২০০৬ এর ২৮ অকটোবর খুনি হাসিনার নির্দেশে জামায়াত ও শিবিরের ১১ নেতা-কর্মীকে লগি বৈঠা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ওই আওয়ামী নর পশুরা শহীদের লাশের উপর উঠে নৃত্য করেছে। ওই পৈশাচিকতা ও নারকীয়তা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। ভারতের দালার শেখ ফাসিনা ১৯৮১ সালে দিল্লী থেকে মন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে এসে ক্ষমতার আগে এবং পরে হাজারো মানুষকে খুন করেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে গিয়ে দিল্লীতে আশ্রয় নিয়েছে প্রমান করেছে সে ভারতের দালাল। তিনি বলেন আমার বাবা আল্লাামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাক্ষীকে ভারতে পাওয়া গেছে। আওয়ামীলীগের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাঈদী হত্যাসহ সকল হত্যায় জড়িত খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি চাই। ২০১৪ ও ২০১৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী দল হওয়ায় সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসের বাবা এ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, ড. আব্দুল্লাহহিল মাহামুদ এবং জেলা ও উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ।