পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থন করা নিয়ে কোন্দলের জেরে হোতখালী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নিলয় তালুকদার (২১) নামে এক নৈশ প্রহরীকে,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়,সাম্প্রতিকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গুলিশাখালী ইউনিয়নের হোতখালী গ্রামে গৃহবধুর ভাশুর ইব্রাহিম ও ফায়সালের সাথে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন্দলের সৃষ্টি হয়,ওই কোন্দলের জেরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিলয় তালুকদার কে গৃহবধূ ফোন দিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। গৃহ বধুর ডাকে নিলয় তালুকদার ঘরে গেলে ওই এলাকার ইউসুফ ও সোহাগ নিলয় তালুকদার কে আটকে রেখে ট্রিপল (৯৯৯) নাইনে ফোন দেয়।
এরপর মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ হোতখালী গৃহবধূর বাড়ী থেকে নিলয় তালুকদারকে থানায় নিয়ে আসে। গত ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গৃহবধূকে বাদী হয়ে ৯ (৪) (খ) ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দিয়ে নৈশ প্রহরী নিলয় তালুকদার কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান।নিলয় তালুকদারের পিতা মোঃ জিয়াউর রহমান ওরফে ভীরু তালুকদার গণমাধ্যম কে জানান,উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোতখালীতে রিয়াজ উদ্দিন ও বায়জিদ আহম্মেদ খানের দুটি পক্ষ হয়,আমাদের তালুকদার বংশ বায়জিদ আহম্মেদ খান কে সমর্থন করে।অপরদিকে প্রতিপক্ষ ইউসুফ ও সোহাগ সহ গৃহবধূর পরিবার রিয়াজউদ্দিন আহমেদ কে সমর্থন করে।এ নিয়ে আমাদের দুই পরিবারে সাথে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সৃষ্টি হয়।সে কারণে সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সম্পুর্ণ মনগড়া একটি মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে হয়রানি করছেন।