পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা অনার্স কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ফাজিল পরীক্ষায় জোটবদ্ধ শিক্ষকদের সহায়তায় অবাধে নকল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় নকলের সহায়তা করার দায়ে কর্তব্যরত দুই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেন। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী মো. আরিফ হোসেনকে কেন্দ্র পরিদর্শক মো. ফিরোজ আলম নকলের দায়ে বহিষ্কার করেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ধানীসাফা সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ।
সরেজমিনে জানা যায়, মঠবাড়িয়া সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পরীক্ষাকেন্দ্রে সাতটি মাদ্রাসার ১৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরুর পর জোটবদ্ধ শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের নকল করতে উসকানি দেন এবং সহযোগিতা করেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেন এবং এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল কাইয়ূম প্রথমে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে মাদ্রাসা শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের পছন্দের তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য চাপ দেন। ইউএনও তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন এবং পরবর্তীতে তাদের মনোনীত কর্মকর্তা দায়িত্ব পান।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে অব্যাহতি এবং এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল কাইয়ূম বলেন, “পরীক্ষার অনিয়ম রোধে এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।