ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের পশারীবুনিয়া গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী রতি কান্ত হাওলাদার (৫৫) ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পেটের তাগিদে এই পরিবার বাড়ির আঙিনার বনজ শাক-সবজি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করছে।
রতি কান্তের পরিবারের রয়েছে বসতির জমি, তবে মাথা গোঁজার মতো কোনো ঘর নেই। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়—সবকিছুর মুখে অসহায় পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
রতি কান্তের স্ত্রীও মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁদের চার মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে রত্না হাওলাদার (১৩) পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে। রত্না জানান, নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে সে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তাদের পরিবারে চরম দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘর না থাকায় শীতের কষ্ট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে বলে সে জানায়।
রত্না আরও বলে, “আমাদের মাথাগোঁজার জন্য একটি ঘরের খুব দরকার। বাবা অসুস্থ, কাজ করতে পারেন না। আমাদের পরিবারের জন্য সরকারের কাছে একটি ঘরের আবেদন জানাই।”
স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা বলেন, “রতিকান্তের পরিবারকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে আমি পরিষদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেব। আপাতত তাঁকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, “রতিকান্তের পরিবার সম্পর্কে আগে জানতাম না। বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক। খোঁজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”