ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এন.আই.এইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাণ্ডারিয়া পৌরশহরের দক্ষিণ ভাণ্ডারিয়া মহল্লার বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের পরিবারের দাবি, তাকে হয়রানিমূলকভাবে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক ভাণ্ডারিয়ায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় মিরপুর মডেল থানার কাছে সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে অংশ নেওয়া আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিহতের ভাই আমিনুল ইসলাম ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৯ জন নামীয় এবং ১০০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি মিরপুর মডেল থানায় এজাহারভুক্ত হয়।
ওই মামলায় ভাণ্ডারিয়ার প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে ৪০ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী ফাতিমা খানম বলেন, আমার স্বামী একজন নিরীহ মানুষ এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ঘটনার সময় তিনি ভাণ্ডারিয়ায় ছিলেন এবং ঢাকায় যাননি। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন মাসুমের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আবেদন জানাচ্ছি।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশরাফুল ইসলামের মামলায় শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, মিরপুর থানায় দায়ের করা আশরাফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ওমর ফারুককে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মোট ১৯৯ জন নামীয় ও ১০০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।