(বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ডের সোর্স জুয়েলের বিরুদ্ধে ইয়াবা দিয়ে সুমন (২৮) নামে এক যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজারে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিবাদ করেন। তারা নিরীহ জেলে সুমনকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত সোর্স জুয়েলের বিচারের দাবি জানান।
বিকেল পাঁচটায় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড সুমনকে আটক করে। সুমন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার শাহ আলমের ছেলে এবং পেশায় একজন জেলে। অভিযুক্ত জুয়েল (২৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের গহরপুর এলাকার জাফর মীরের ছেলে। পাথরঘাটা থানা পুলিশের তথ্যানুসারে, জুয়েল একাধিকবার মাদকসহ আটক হয়েছেন।
স্থানীয় ইউনুস ও খলিলুর রহমান জানান, সুমন মাছ বিক্রি করে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জুয়েল তার পথ আটকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পায়ের কাছে ইয়াবা রাখার চেষ্টা করেন। এ সময় কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জুয়েল তড়িঘড়ি করে ইয়াবা তুলে সুমনের পকেটে রেখে কোস্টগার্ডকে ফোন দেন। পরে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, সুমন নিরীহ প্রকৃতির ছেলে। সম্প্রতি পারিবারিক বিরোধের জেরে খায়রুল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। খায়রুলের বন্ধু কোস্টগার্ডের সোর্স জুয়েল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৭ মার্চ জুয়েল ১ কেজি গাঁজাসহ আটক হন। পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি কোস্টগার্ডের সোর্স হয়ে বিভিন্ন জনকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর কাজে জড়িত হন।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুমন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জুয়েল আমাকে হরিণের চামড়া ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে এক মাস আগে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম।
দক্ষিণ স্টেশন কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম আকতার হোসেন বলেন, জুয়েল নামে আমাদের কোনো সোর্স নেই। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুমনের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা এবং ১৭,৭৮২ টাকা উদ্ধার করেছি। সুমনকে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৪) পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।